“কোভিট- ১৯” হতে “কো-ভাদিস”
রোম শহরে “কো-ভাদিস” (Quo Vadis) নামে একটা গীর্জা আছে। কথিত আছে, অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সাধু পিতর রোম শহর থেকে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে যীশুর সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। সাধু পিতর রোম শহর ছেড়ে যাচ্ছেন আর যীশু রোম শহরে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন। মুখোমুখি তাঁরা দুজন।
যীশুকে দেখে হতভম্ব সাধু পিতর প্রশ্ন করেন, “প্রভু আপনি কোথায় যাচ্ছেন?”
যীশু বললেন, “আমি রোম শহরের যাচ্ছি ।”
সাধু পিতরের মুখটা বিষন্নতায় ভরে গেল যীশুর কথা শুনে । বুঝতে পারলেন কত বড় ভুল করতে যাচ্ছিলেন তিনি। হয়তোবা তাঁর মনে পড়ে গিয়েছিল যে একবার সে বড় মুখ করে তিন তিনবার যীশুকে বলেছিলেন, প্রভু আমি আপনাকে ভালোবাসি। আবার সে নিজেই কিছুদিন পর যীশুকে তিন তিনবার অস্বীকার করেছিলেন। যীশু জানতেন সাধু পিতরের মানবিক দূর্বলতার কথা। তাইতো, তাঁকে তিরস্কার না করে, তাঁরই হাতে দিয়েছিলেন মন্ডলীকে পরিচালনা করার দায়িত্বভার।
যীশুর সাথে সাক্ষাৎের পর সাধু পিতর আবার রোম শহরের ফিরে আসেন। আর সেখানে সে যীশুর জন্য, প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। তাঁরই কবরের উপর আজ দাঁড়িয়ে আছে সাধু পিতরের মহামন্দির।
আর যীশুরর সাথে সাক্ষাৎের স্থানে গড়ে উঠেছে একটা ছোট গীর্জা, যার নাম “কো-ভাদিস”। সেই গীর্জায় মধ্যে রয়েছে একটা পদচিহ্ন। অনেকে বলে থাকেন যে সেই পদচিহ্ন হলো যীশুর পদচিহ্ন । আজও অনেকে সেখানে যান এবং প্রার্থনা করে থাকেন।
“কোভিট- ১৯” শুরু হ্ওয়ার পর থেকে আমার বার বার মনে হচ্ছে আমরা কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছি। আমরা দূরে সরে গিয়েছি সুন্দর এবং পবিএ জীবন থেকে । ভুলে গিয়েছি সৃষ্টিকর্তাকে। ধর্ম থেকে কর্মই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে আমাদের জীবনে।
আমরা শুধু যীশুর কাছ থেকেই দূরে সরে যাইনি। আমরা একে অন্যের কাছ থেকেও দূরে সরে গিয়েছি। নিজেদের মধ্যে একটা বিচ্ছন্নতা ভাব গড়ে উঠেছে। আমাদের মনোভাব হয়েছে, আমাকে আমার মতো করে বাঁচতে দাও। পারিবারিক দ্বন্দ্ব নিত্যদিনের ঘটনা। পিতা-মাতা ও সন্তানের মধ্যে বিশাল ব্যবধান। ভাইয়ে-ভাইয়ে ঝগড়া এখন আর নতুন কিছু না। পাড়া-প্রতিবেশিদের কথা না হয় বাদই দিলাম!
এমনকি আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছি আমাদের নিজেদের কাছ থেকে। আমরা কি সত্যিই নিজেদের ভালোবাসি! নিজেদেরকে যদি সত্যিকার অর্থে ভালোবাসতাম তাহলে হয়তোবা কথায় কথায় আত্মহত্যার চিন্তা মাথায় আসতোনা। মৃত্যুর কারণ হতে পারে জেনেও, আমরা নেশায় ডুবে থাকতাম না।
হয়তোবা “কোভিট- ১৯” এর কঠিন সময় আমাদের খুঁজতে হবে আমার জীবনের “কো-ভাদিস” কোথায়? কোথায় গেলে আমি যীশুর সাক্ষাৎ পাব? কোথায় গেলে আমি আমার হারিয়ে যাওয়া মানবিকতা ফিরে পাবো?
আশার কথা হলো, যীশু আবারো আমাদের ডাকছেন তাঁর কাছে ফিরে আসার জন্য। তিনি আমাদের সান্নিধ্য লাভের আশার উন্মুখ হয়ে আছেন। আসুন সবাই চেষ্টা করি “কোভিট- ১৯” হতে আমাদের জীবনের “কো-ভাদিস”- এর সন্ধান লাভ করার জন্য...
রোম শহরে “কো-ভাদিস” (Quo Vadis) নামে একটা গীর্জা আছে। কথিত আছে, অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সাধু পিতর রোম শহর থেকে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে যীশুর সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। সাধু পিতর রোম শহর ছেড়ে যাচ্ছেন আর যীশু রোম শহরে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন। মুখোমুখি তাঁরা দুজন।
যীশুকে দেখে হতভম্ব সাধু পিতর প্রশ্ন করেন, “প্রভু আপনি কোথায় যাচ্ছেন?”
যীশু বললেন, “আমি রোম শহরের যাচ্ছি ।”
সাধু পিতরের মুখটা বিষন্নতায় ভরে গেল যীশুর কথা শুনে । বুঝতে পারলেন কত বড় ভুল করতে যাচ্ছিলেন তিনি। হয়তোবা তাঁর মনে পড়ে গিয়েছিল যে একবার সে বড় মুখ করে তিন তিনবার যীশুকে বলেছিলেন, প্রভু আমি আপনাকে ভালোবাসি। আবার সে নিজেই কিছুদিন পর যীশুকে তিন তিনবার অস্বীকার করেছিলেন। যীশু জানতেন সাধু পিতরের মানবিক দূর্বলতার কথা। তাইতো, তাঁকে তিরস্কার না করে, তাঁরই হাতে দিয়েছিলেন মন্ডলীকে পরিচালনা করার দায়িত্বভার।
যীশুর সাথে সাক্ষাৎের পর সাধু পিতর আবার রোম শহরের ফিরে আসেন। আর সেখানে সে যীশুর জন্য, প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। তাঁরই কবরের উপর আজ দাঁড়িয়ে আছে সাধু পিতরের মহামন্দির।
আর যীশুরর সাথে সাক্ষাৎের স্থানে গড়ে উঠেছে একটা ছোট গীর্জা, যার নাম “কো-ভাদিস”। সেই গীর্জায় মধ্যে রয়েছে একটা পদচিহ্ন। অনেকে বলে থাকেন যে সেই পদচিহ্ন হলো যীশুর পদচিহ্ন । আজও অনেকে সেখানে যান এবং প্রার্থনা করে থাকেন।
“কোভিট- ১৯” শুরু হ্ওয়ার পর থেকে আমার বার বার মনে হচ্ছে আমরা কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছি। আমরা দূরে সরে গিয়েছি সুন্দর এবং পবিএ জীবন থেকে । ভুলে গিয়েছি সৃষ্টিকর্তাকে। ধর্ম থেকে কর্মই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে আমাদের জীবনে।
আমরা শুধু যীশুর কাছ থেকেই দূরে সরে যাইনি। আমরা একে অন্যের কাছ থেকেও দূরে সরে গিয়েছি। নিজেদের মধ্যে একটা বিচ্ছন্নতা ভাব গড়ে উঠেছে। আমাদের মনোভাব হয়েছে, আমাকে আমার মতো করে বাঁচতে দাও। পারিবারিক দ্বন্দ্ব নিত্যদিনের ঘটনা। পিতা-মাতা ও সন্তানের মধ্যে বিশাল ব্যবধান। ভাইয়ে-ভাইয়ে ঝগড়া এখন আর নতুন কিছু না। পাড়া-প্রতিবেশিদের কথা না হয় বাদই দিলাম!
এমনকি আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছি আমাদের নিজেদের কাছ থেকে। আমরা কি সত্যিই নিজেদের ভালোবাসি! নিজেদেরকে যদি সত্যিকার অর্থে ভালোবাসতাম তাহলে হয়তোবা কথায় কথায় আত্মহত্যার চিন্তা মাথায় আসতোনা। মৃত্যুর কারণ হতে পারে জেনেও, আমরা নেশায় ডুবে থাকতাম না।
হয়তোবা “কোভিট- ১৯” এর কঠিন সময় আমাদের খুঁজতে হবে আমার জীবনের “কো-ভাদিস” কোথায়? কোথায় গেলে আমি যীশুর সাক্ষাৎ পাব? কোথায় গেলে আমি আমার হারিয়ে যাওয়া মানবিকতা ফিরে পাবো?
আশার কথা হলো, যীশু আবারো আমাদের ডাকছেন তাঁর কাছে ফিরে আসার জন্য। তিনি আমাদের সান্নিধ্য লাভের আশার উন্মুখ হয়ে আছেন। আসুন সবাই চেষ্টা করি “কোভিট- ১৯” হতে আমাদের জীবনের “কো-ভাদিস”- এর সন্ধান লাভ করার জন্য...